গাংনীর বামন্দীর ২শ’বছরের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী পশুহাট ধ্বংসের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
মেহেরপুর প্রতিনিধি:
গাংনী উপজেলার শিল্পনগরীখ্যাত বামন্দীর ২শ’ বছরের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী পশু হাট একটি কুচক্রীমহলের চক্রান্তে ধ্বংসের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টার সময় কুষ্টিয়া -মেহেরপুর সড়কের বামন্দী বাসষ্ট্যান্ড মোড়ে বামন্দী এলাকাবাসীর আয়োজনে বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বামন্দী হাট কমিটির সভাপতি ও বামন্দী ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে বিশাল মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিগত ১০ বছর যাবত এলাকার অসাধু নেতাদের উৎকোচ দিয়ে নামমাত্র ৪৫ লাখ থেকে ৬৫ লাখ টাকায় ইজারা নিয়ে মীরপুর উপজেলার কামাল হোসেন বামন্দী পশুহাটে ব্যবসা করে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে এসেছ্।েবামন্দী এলাকার প্রতিবাদে সেই ঐতিহ্যবাহী হাট থেকে কামাল হোসেন বিতাড়িত হয়েছে।
বর্তমানে হাট ইজারাদার ২ কোটি ৩৮ লাখ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয়ে পশুহাট পরিচালনা করছেন। বিশাল অংকের রাজস্ব ’র বিনিময়ে গাংনী উপজেলার নানা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।বামন্দী বাজার থেকে বিতাড়িত হয়ে ধূর্ত কামাল হোসেন ঈর্ষান্বিত হয়ে এই ঐতিহ্যবাহী হাট নষ্ট করার জন্য খালসাকুন্ডিতে হাট স্থাপন করে। অবৈধভাবে এবং সরকারী অনুমোদন না পেয়েও বামন্দী পশুহাটের সাথে দিনতারিখ মিল রেখে অর্থ্যাৎ শুক্রবার ও সোমবার হাট বসাচ্ছে।
এই হাট বসানোকে কেন্দ্র করে আইন আদালত করা হয়েছ্।েসর্বোচ্চ আদালতে রিট করা হলেও অদ্যাবধি অবৈধভাবে গড়ে উঠা পশুহাট অজ্ঞাত কারনে বন্ধ করা হয়নি। পরবর্তীতে আইনী সহায়তা না পেয়ে খলিসাকুন্ডি থেকে হাট স্থানান্তর করে অদূরে কাতলামারী গ্রামের পার্শ্বে অন্যনামে হাট অনুমোদন করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। বক্তারা আরও বলেন, এতেও আমাদের আপত্তি নেই।আমরা জানতে পেরেছি, কামাল হোসেনকে পশু হাট পরিচালনার কোন বৈধতা দেয়া হয়নি। শুধুমাত্র কোরবানীর সময় পশু সরবরাহ করার জন্য হাট খোলার অনুমোদন দেয়া রয়েছে।
অথচ, কামাল হোসেন গায়ের জোরে কাগজপত্র না থাকলেও পশুহাট চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা এর তীব্র জানাই। জানা গেছে, কামাল হোসেন তার ভাড়াটে মাস্তান লেলিয়ে দিয়ে বামন্দী পশুহাটে গরু ছাগল নিয়ে আসতে চাইতে তাদের বাঁধা প্রদান করছে। এমনকি তাদের গাড়ি আটক করেগরু ছাগল নামিয়ে নিয়ে বিক্রিতে বাধ্য করা হচ্ছে।
অনেকক্ষেত্রে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ব্যাপারীদের ভয়ভীতি দেখানো ও আটক করে মারধর করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে হাটের দিনক্ষণ পরিবর্তন করলে আমাদের আপত্তি নেই। যদি প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই অনিয়ম বন্ধ করা না হয় তাহলে আমরা পরবর্তীতে বৃহত্তর কর্মসূচি গ্রহনে বাধ্য হব।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বামন্দী পশুহাটের সাবেক হাট মালিক আমিরুল ইসলাম, বর্তমান হাট মালিক নাসিরউদ্দীন, বামন্দী বাজার কমিটির সভাপতি আব্দুল আওয়াল, বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবু, বাজার কমিটির সহ সভাপতি ডা. নূরুল হুদা ওরফে নূহু বাঙ্গালী, হাট কমিটির সদস্য মনিরুজ্জামান আতু প্রমুখ।এছাড়াও বামন্দী এলাকার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যবসী, শিক্ষক শিক্ষার্থী,সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন মানববন্ধনে অংশ নেয়।